ডেস্ক নিউজ: কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নেতাকর্মীদের শপথ নিয়ে সংগ্রাম গড়ে তুলতে আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আসুন স্বাধীনতার এই দিনে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে, আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সোচ্চার দাবি তুলি। লড়াই সংগ্রাম গড়ে তুলবো’।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে র্যালির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মী মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতি সম্মতি জানিয়ে স্লোগান দেয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, আমরা দেশের সকল মানুষ শান্তি চাই, গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে চাই। এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে, মিথ্যা মামলায় আটক সকল রাজবন্দির মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করেতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সারা দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। যে চেতনা নিয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করে ছিলাম, সেই চেতনার মুল বিষয়টি ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। বর্তমানে সেই চেতনাকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে সারা দেশে গুম, খুন, হত্যা, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে অবৈধ অনৈতিক অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দুঃখের বিষয় আজকে অত্যন্ত ভারাক্লান্ত হদয়ে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আমাদেরকে স্বাধীনতার দিবস পালন করতে হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কাছে গ্রেফতার হয়ে যিনি ৯ মাস ছিলেন, যিনি গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন সেই নেত্রী বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের নেত্রী খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে বন্দি অনৈতিক ও অনির্বাচিত আওয়ামী সরকারের দ্বারায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতা র্যালির মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করবো বাংলাদেশের মানুষ আজকে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ।’ নয়াপল্টন দলের কার্যালয় থেকে এ র্যালি শোভাযাত্রা শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয় পুলিশি বেধে দেয়া স্বল্প পরিসরের মধ্যে। র্যালির অগ্রভাগ যখন পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে শান্তিনগর মোড়ে তখন র্যালির শেষ অংশ ছিল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।’
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে র্যালিতে অংশ নিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শ্যামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
এছাড়াও র্যালিতে শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, আলমগীর হাসান সোহান, নাজমুল হাসানসহ লাখো নেতাকর্মী।